ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ কর্মী আবশ্যক::
সাত দিনের কাগজ সাপ্তাহিক যায় সময় পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম...

অক্ষৌহিণী

অক্ষৌহিণী

রাজরাজরার সময় জন্মালে অক্ষৌহিনীর পদাতিক দলে হয়তো জায়গা পেতাম। শেষ সারিতে।
নিশানা হাতে- তুমি হয়তো হাতুন প্রধান হেরেমের।
রাজার এটো পাতে নগন্য সৈন্যের রসনা বিলাস! রাজদন্ডে মুন্ডু হারাতাম। তাও ভালো ছিলো।
গণতন্ত্রে অধিকার পেয়ে মুন্ডু রেখে হৃদয় হারালাম।
আকাশ মুখ দেখে শান্ত স্বচ্ছ জলে
জলের আয়না কত কথাবলে! এই যেমন-
মেঘেরা উড়াউড়ি করছে এলোমেলো
এই বুঝি বাদলা নেমে এলো; জল মিশে যাবে জলে
আকাশ জল শুন্য হলে-অভিমানে আঁধার টেনে আনে।
কে যেন হেঁটে চলে পায়ে শব্দ তুলে; জলের ধারে ফোঁটা পদ্ম পানে চায়-
ফুল নয় কলি দেখে স্মিত হাসি হেসে দূরতম প্রেমিককে শুধায়-
একশো একটি নীলপদ্ম তাই নিয়ে নীললোহিতও প্রিয়তমার দেখা না পায়।
তুমি এসো শুন্য হাতে- একবার; শুধু একবার দেখতে যদি চাও-
এই পথে; যে পথে সন্ধ্যা নামলে আঁধার ঘনায়।
এমন সময়-
আকাশ কেঁদে ওঠে- বাদলা নেমে আসে ধূলির ধরায়-আবার সে হেঁটে চলে প্রেমিককে মুছে ফেলে
অশ্রু কেন নেমে আসে এই অবেলায়!
আমার কথা থাক;
তোমার কথাই শুধু বলো আজ গভীর মনোযোগে শুনি।
কথার কথাগুলো নয়; যা আছে গভীরতর বিস্ময়- চড়ুই পাখি যেভাবে কথা কয়।
বুঝেছি ভালোবেসে
কাছে আসার চেয়ে কথার যাদুতেই বিমোহিত হয়
প্রেমিকের হৃদয়। যা শোনাতে চাও শুনিয়ে যাও
যাবে তো নিশ্চয়-দুজনের গন্তব্য কখনোই এক নয়
রাস্তা ভাগ হয়ে যাওয়া অবদি অচেনা পথিকও পরস্পর কথা কয়।
কোন একদিন আবার যদি দেখা হয়
কোন এক পথে- আমার কথা শুনিও
যদি সেদিন কোন অচেনা পথিক না পাও।।
ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অক্ষৌহিণী

আপডেট সময় : ০৭:১৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

অক্ষৌহিণী

রাজরাজরার সময় জন্মালে অক্ষৌহিনীর পদাতিক দলে হয়তো জায়গা পেতাম। শেষ সারিতে।
নিশানা হাতে- তুমি হয়তো হাতুন প্রধান হেরেমের।
রাজার এটো পাতে নগন্য সৈন্যের রসনা বিলাস! রাজদন্ডে মুন্ডু হারাতাম। তাও ভালো ছিলো।
গণতন্ত্রে অধিকার পেয়ে মুন্ডু রেখে হৃদয় হারালাম।
আকাশ মুখ দেখে শান্ত স্বচ্ছ জলে
জলের আয়না কত কথাবলে! এই যেমন-
মেঘেরা উড়াউড়ি করছে এলোমেলো
এই বুঝি বাদলা নেমে এলো; জল মিশে যাবে জলে
আকাশ জল শুন্য হলে-অভিমানে আঁধার টেনে আনে।
কে যেন হেঁটে চলে পায়ে শব্দ তুলে; জলের ধারে ফোঁটা পদ্ম পানে চায়-
ফুল নয় কলি দেখে স্মিত হাসি হেসে দূরতম প্রেমিককে শুধায়-
একশো একটি নীলপদ্ম তাই নিয়ে নীললোহিতও প্রিয়তমার দেখা না পায়।
তুমি এসো শুন্য হাতে- একবার; শুধু একবার দেখতে যদি চাও-
এই পথে; যে পথে সন্ধ্যা নামলে আঁধার ঘনায়।
এমন সময়-
আকাশ কেঁদে ওঠে- বাদলা নেমে আসে ধূলির ধরায়-আবার সে হেঁটে চলে প্রেমিককে মুছে ফেলে
অশ্রু কেন নেমে আসে এই অবেলায়!
আমার কথা থাক;
তোমার কথাই শুধু বলো আজ গভীর মনোযোগে শুনি।
কথার কথাগুলো নয়; যা আছে গভীরতর বিস্ময়- চড়ুই পাখি যেভাবে কথা কয়।
বুঝেছি ভালোবেসে
কাছে আসার চেয়ে কথার যাদুতেই বিমোহিত হয়
প্রেমিকের হৃদয়। যা শোনাতে চাও শুনিয়ে যাও
যাবে তো নিশ্চয়-দুজনের গন্তব্য কখনোই এক নয়
রাস্তা ভাগ হয়ে যাওয়া অবদি অচেনা পথিকও পরস্পর কথা কয়।
কোন একদিন আবার যদি দেখা হয়
কোন এক পথে- আমার কথা শুনিও
যদি সেদিন কোন অচেনা পথিক না পাও।।