পরিবারে সম্পর্কের গুরুত্ব
জান্নাতুল ফেরদৌস
প্রতিটি পরিবারের ছেলের বউয়েরা যদি একটিবার ভাবতো , আজ যে মানুষটি আমাকে এতো ভালোবাসে এবং আমার সকল চাহিদা মেটানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে, এই মানুষটিকে পৃথিবীর মুখ দেখিয়েছেন যে মা বাবা তাঁদেরকে কখনোই কষ্ট দেওয়া যাবে না এই কথাটি যদি মনে থাকে তাহলে মনে হয় কোন সংসারেই অশান্তি থাকবে না। প্রতিটি বাবা মাকে ভালো রাখতে পারলেই ছেলেমেয়েরাও ভালো থাকে। মনে রাখতে হবে আমরাও একদিন শ্বশুর শ্বাশুড়ি হবো, আমাদেরও সেইম অবস্থা হবে আজ আমরা যা করছি। শ্বাশুড়ি মা শ্বশুর বাবাদের বলছি,,,একটিবার ভাবুন, এই মেয়েটি কিন্তু তার বাবা মা ভাই বোন সবাইকে ছেড়ে এসেছে আপনাদের পরিববারের সদস্য হয়ে। নিজের মেয়ের চেয়ে একটু বেশি ভালোবাসা দেন তাকে দেখবেন সেও আপনাদেরকে প্রাধান্য দিবে সবার উপরে। আপনাদের ছেলেমেয়েরা আপনাদেরকে ভালোবাসবে কারণ,, রক্তের বন্ধনের কারণে ওরা ভালোবাসে, আর এই মেয়েটি রক্তের বন্ধন ফেলে আপনাদের কাছে এসেছে আপনাদেরকে ভালোবাসতেছে,এখানে ওর ভালোবাসার মূল্যটা আপনাকে একটু বেশিই দিতে হবে ভালোবেসে। এবার স্বামীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা,,, সারাদিন অফিস করে বাসায় ফিরেছেন, তারপর সারাদিনের সব রাগ,ক্লান্তি, বিরক্তি সব বউয়ের উপর ঝাড়বেন না যেনো। একটিবার মাথায় রাখবেন সেও সারাদিন বাসায় কাজ করেছে পরিবারের সবার খেয়াল রাখছে এতো ব্যস্ততার মধ্যেও সে আপনার ঘরে ফেনরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে।সে কিন্তু আপনার ব্লাড কানেকশনের কেউ না তারপরও তার সম্পূর্ণ পৃথিবীটাই আপনি, তার ভালোবাসা, আবেগ, চাওয়া পাওয়াগুলোকে সম্মান দিন, ভালোবাসুন, প্রধান্য দিন।আপনার মা আপনাকে ভালোবাসে কারণ আপনি তার নারী ছেঁড়া ধন,আপনার বাবা, ভাই, বোন আপনাকে ভালোবাসবে কারণ রক্তের টান বাট এই মেয়েটি রক্তের টান, মায়া, ভালোবাসা সব উপেক্ষা করে আপনার ঘরে চলে এসেছে। আপনাদের সবাইকে ভালো রাখতে চেষ্টা করছে, তার ভালোবাসাকে সম্মান দিন ভালোবাসুন,তাকে ছোট করে কথা বলবেন না। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আপনার জন্য আল্লাহর দেওয়া বিশেষ নেয়ামত।তাকে আগলে রাখুন ভালোবাসা দিয়ে। ঘরের বউদের বলছি,,,অতিরিক্ত চাই চাই, খাই খাই, নাই নাই স্বভাবটা বাদ দিন। স্বামীর ইনকাম যতটুকু তার উপর সন্তুষ্ট থাকুন। আপনার অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে গিয়ে আপনার স্বামী যেনো কোনরকম অসৎপথে পা না বাড়ায়।স্বামীকে সম্মান করুন,ভালোবাসুন, মনে রাখবেন,,, আল্লাহ উনার পরে যদি কাউকে সিজদাহ্ করার কথা বলতেন,, তাহলে প্রত্যেক স্ত্রীদের বলতেন তার স্বামীকে সিজদাহ্ করার জন্য। স্বামীদের অসম্মান, অমর্যাদা করবেন না। স্বামী স্ত্রী উভয়কেই বলছি,,,, একে অপরকে ভালোবাসুন,সম্মান দিন, যত্ন দিন, ছাড় দিতে শিখুন, ধৈর্য্য ধারণ করুন। কেউ কারোর অতিতের ভুল ত্রুটিগুলো সামনে এনে অপমান করবেন না। ক্ষমা করতে শিখুন।তাহলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতে সুখি হতে পারবেন। এবং কোন সম্পর্কই ভেঙে যাবে না। ইনশাআল্লাহ
অটুট থাকুক পৃথিবীর সকল পবিত্র ভালোবাসার বন্ধনগুলো